
নাজমুল হাসান নিরব, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় ছাগলে মেহগনি গাছের ছাল খাওয়া নিয়ে দুই পরিবারের সংঘর্ষে মতিউর রহমান তাঁরা (৫৫) নামের এক ব্যাক্তি নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর)সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের যোগারদিয়া গ্রামে বিকালে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে তাহমিনা বেগম (৫৩) ও তার ছেলে সজল (২২) কে নিয়ে বাড়ির পাশে সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবির বাড়ির সামনে সুপারি সংগ্রহ করতে যায়। সেখানে তাদের বাগানের মেহগনি গাছের ছাল উঠানো দেখতে পেয়ে গালিগালাজ করে। এসময় মতিউর রহমান তারা ও তার দুই ছেলে, লেলিন ও প্রিন্স আগাইয়া আসে। এসময় দুই পরিবারের লোকজন এগিয়ে গেলে তাহমিনা ও তারার পরিবারের সদস্যদের সাথে হাতাহাতি হয়।
ডাক চিৎকারে দুই পরিবারের আরও সদস্য আগাইয়া গেলে গাছের ডাল ও বাশঁ দিয়ে মারামারি হয়। এসময় মতিউর রহমান তারা আহত হন। পরিবারের সদস্যরা তাকে ফরিদপুরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহতের ভাই আজিজুর বলেন, মেহগনি গাছের ছাল খাওয়া নিয়ে ওরা গালিগালাজ করে এসময় মতিউর রহমান তারার ছেলে এগিয়ে গিয়ে গালিগালাজ করার কারন জিজ্ঞেস করলে, পাচুর ছেলেরা ও ওহাবের ছেলেরা এবং মহিলাদের সাথে মতিউর রহমানের ছেলেদের সাথে মারামারি লাগে, তারা সেই মারামারি ঠেকাতে গেলে উনারে সহ ওরা মারধর করে। এসময় তিনি আহত হন।
বাগানের মালিক মৃত ওহাবের স্ত্রী তাহমিনা বেগম বলেন, আমার ছোট ছেলে সজল কে নিয়ে সুপারি সংগ্রহ করতে বাড়ির পাশে বাগানে যাই, সেখানে আমাদের মেহগনি গাছের ছাল গরু/ছাগলে খেয়ে ফেলছে এই জন্য আমার ছেলে গালিগালাজ করে,এসময় তাঁরা মিয়ার ছেলেরা আসে এরপর তারাঁ মিয়া কোদাল নিয়ে আসে আমার ছেলেকে মারতে। হুমকি-ধামকি দিতে থাকে, সে আগে থেকেই স্টোকের রুগি ছিল। চিল্লাচিল্লি করার কারনে সে স্ট্রোক করে পড়ে যায়।
এ ব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, খবর পেয়ে পুুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সান্ত করে, এলাকার পরিবেশ সান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।