- Advertisement -spot_img

৩৫০ কোটি নয়, এক কোটিরও কম খরচে চালু হচ্ছে মেট্রো স্টেশন

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_imgspot_img

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন সংস্কার করে পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সংস্কার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে কাজীপাড়া স্টেশন, চালু হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে। তবে এর সংস্কার কাজে ৩৫০ কোটি টাকা নয়, বরং খরচ হয়েছে এক কোটি টাকারও কম।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান  ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর শীর্ষ কর্মকর্তা সূত্রে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাজীপাড়া স্টেশন চালুর বিষয়ে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

একইভাবে দ্রুত সংস্কারের চেষ্টা চলছে মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশনও। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ওই স্টেশনটিও যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া সম্ভব হবে বলে জানায় ডিএমটিসিএল।

অথচ গত ১৯ জুলাই হামলার ঘটনার পর আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দু’টি সংস্কার করে পুনরায় সচল করতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে।

২৭ জুলাই সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশন ধ্বংসপ্রাপ্ত। এক বছরেও যন্ত্রপাতি এনে সচল করা সম্ভব হবে না বলে এক্সপার্টরা জানিয়েছে। এছাড়া স্টেশন দু’টি মেরামত করতে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার মতো খরচ হবে বলেও তখন সরকারি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।

যদিও নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর কর্মকর্তারা এখন জানাচ্ছেন, স্টেশন সংস্কারে এত বিপুল অর্থের প্রয়োজন পড়বে না।

তাহলে মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত দুই স্টেশন সংস্কারে শেষমেশ ঠিক কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে? তাছাড়া এত কম সময়ের মধ্যেই-বা স্টেশনগুলো চালু করা সম্ভব হচ্ছে কীভাবে?

এক কোটিরও কমে ঠিক হচ্ছে কাজীপাড়া
গত ১৯ জুলাইয়ের হামলায় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশনে অবকাঠামোগত যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটি পূরণে প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে জানিয়েছিল ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর এখন জানা যাচ্ছে, স্টেশনটি সংস্কারে এক কোটি টাকাও খরচ হচ্ছে না। ডিএমটিসিএলের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানান, স্টেশনটি ঠিকঠাক করতে আপাতত আমাদের খুব মিনিমাম একটা অর্থ ব্যয় হচ্ছে। তবে সেটা কোটির ঘরে যাবে না, কোটির মধ্যেই থাকবে।

অন্যদিকে, মিরপুর ১০ স্টেশনের যেসব যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে, সেগুলো আমদানি করতে হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আনতে বেশ কয়েক মাস সময় যেমন লাগবে, তেমনি বেশ খরচেরও প্রয়োজন হবে। তবে ঠিক কত টাকা ব্যয় হতে পারে, সেটির চূড়ান্ত হিসাব এখনও নির্ধারিত হয়নি।

ডিএমটিসিএলে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, এটা নির্ভর করছে যন্ত্রপাতিগুলোর কোনটি কেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটির মাত্রার উপর। আমাদের একটি টিম এটি নিয়ে কাজ করছে। খুব শিগগিরই টাকার অঙ্কটা জানা যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যে হিসাব করেছি, তাতে মনে হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত দুটো স্টেশন মিলিয়ে সংস্কার কাজ করতে ১৩৮ কোটি টাকার বেশি লাগবে না। অথচ গত জুলাই মাসে দুই স্টেশন মেরামত করতে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ডিএমটিসিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।

তখন কীভাবে হিসাব করা হয়েছিল?
মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, তখন যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারাই সেটি বলতে পারবেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রাথমিক যে হিসাব করেছি, সেখানে ১৩৮ কোটির মতোই ব্যয় হতে পারে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ শাসনামলে ২০১৭ সালে ডিএমটিসিএলের এমডি’র দায়িত্ব পেয়েছিলেন এম এ এন ছিদ্দিক। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর গত ৯ সেপ্টেম্বর তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে সেই জায়গায় মোহাম্মদ আবদুর রউফকে দায়িত্বে দেয়া হয়। নতুন দায়িত্ব পেয়েই তিনি মেট্রোরেলে ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন সংস্কার করে দ্রুত চালু করার প্রতি জোর দেয়।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ
- Advertisement -spot_img
সম্পর্কিত খবর
- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here